আগ্রহী ডিলারদের জন্য বাইবিটের তথ্যাবলী

প্রযুক্তিই হচ্ছে মানব জাতির জীবন মান উন্নয়নের চাবিকাঠি। অথচ বাংলাদেশের মত স্বল্প আয়ের দেশসমুহ প্রযুক্তির ব্যবহারে অনেক পিছিয়ে আছে। একশত বছরেরও আগে উদ্ভাবিত এক্স-রে ও ইসিজি যন্ত্রের সেবা সারা বাংলাদেশে এখনও কজন পাচ্ছে? বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষ গ্রামে ও রাজধানী থেকে দূরে মফস্বল শহরে থাকে। তারা কি মানসম্পন্ন চিকিৎসা যন্ত্রের সেবা পাচ্ছে? আমরা সবাই জানি এর পরিস্কার উত্তর হচ্ছে, ‘না’। এর বড় একটি কারণ হচ্ছে যে আমরা নিজস্ব মেধা দিয়ে দেশীয়ভাবে প্রযুক্তি উন্নয়ন করি নি। এ জন্য আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানে অভাবনীয় সব আবিষ্কার ও উন্নয়নের পরও আমাদের সাধারণ জনগণের জীবন মান অনেক নিচুতে রয়ে গেছে। এ অবস্থা থেকে দেশের জনগণকে মুক্ত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের নেতৃত্বে আমরা একঝাঁক প্রবীণ ও তরুণ বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলী মিলে নিজস্ব প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশেই চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য রক্ষার আধুনিক যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন, উন্নয়ন ও বিতরণের একটি কঠিন চ্যালেঞ্জকে সামনে নিয়ে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কয়েক যুগের প্রচেষ্টার সফলতার প্রেক্ষিতে নিজস্ব প্রযুক্তিতে দেশীয়ভাবে তৈরি চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক যন্ত্রপাতির বাণিজ্যিক উৎপাদন ও বিক্রয়ের লক্ষ্যে ২০১৩ সালে আমরাই বাইবিট লিমিটেড নামে একটি অংশীদারবিহীন সামাজিক কোম্পানী নিবন্ধিত করে নতুন প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করি। এ কোম্পানীর কোন মালিক নেই, এর মুনাফা কোন ব্যক্তি নিতে পারবে না, কোম্পানীর কাজের পরিধি বাড়ানো, গবেষণা ও জনগণের কল্যাণেই কেবল তা ব্যয় করা যাবে। সাধারণ জনগণ যেন সুলভে আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি পেতে পারেন এ জন্য আমরা যথাসাধ্য কম মূল্যে যন্ত্রপাতি বিক্রয় করে থাকি। তা ছাড়া বেশীরভাগ যন্ত্রেই আছে দু বছরের ওয়ারেন্টী।

এর মধ্যে বাইবিটের তৈরি বেশ কিছু চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক যন্ত্রপাতি বাংলাদেশসহ আশে পাশের কয়েকটি দেশেও বিক্রি হয়েছে। এ গুলোর মধ্যে আছে কম্পিউটারাইজ্‌ড ডাইনামিক পেডোগ্রাফ (Dynamic Pedograph), কম্পিউটরাইজ্‌ড ইসিজি (ECG), মাস্‌ল এন্ড নার্ভ স্টিমুলেটর (Muscle & Nerve Stimulator), হাত-পায়ের অতিরিক্ত ঘাম উপশমের জন্য আয়োন্টোফোরেসিস (Iontophoresis) যন্ত্র ‘অ্যান্টি-সোয়েট’ (Anti-Sweat) এবং মাংসপেশী ও হাড়ের ব্যথা উপশমে আধুনিকতম পিইএমএফ (PEMF) প্রযুক্তির যন্ত্র ‘ইলেকট্রো হেল্‌থ’ (Electro Health)। এর মধ্যে ‘অ্যান্টি-সোয়েট’ ও ‘ইলেকট্রো হেল্‌থ’ যন্ত্রদুটো রোগী ঘরে বসেই ব্যবহার করতে পারে। এ যন্ত্রদুটোর ব্যবহার খুবই সহজ এবং এদের কোন ক্ষতিকর সাইড এফেক্ট নেই, তাই স্বাস্থ্য-সুরক্ষার যন্ত্র (Wellness Device) হিসেবে এ যন্ত্রগুলো সারা পৃথিবীতে ওভার-দা-কাউন্টার যন্ত্র হিসেবে বিক্রয় হচ্ছে। আমাদের যন্ত্রদুটোও ইতিমধ্যে দেশে হাজার হাজার রোগী ব্যবহার করে নিরাময় পাচ্ছেন এবং সারা বাংলাদেশ থেকে এ যন্ত্র কেনার জন্য আগ্রহ বাড়ছে। আবার ক্লিনিকে বা হাসপাতালেও এ যন্ত্রদুটি দিয়ে থেরাপী দেওয়া যায়। পাশাপাশি এক সাথে তিন জন রোগীকে পিইএমএফ থেরাপী দেওয়ার জন্য ‘ইলেকট্রো হেল্‌থ’ যন্ত্রটির একটি ক্লিনিক মডেলও আমরা তৈরি করেছি।

এ সফলতার পরিপ্রেক্ষিতে বাইবিট এখন সারা বাংলাদেশে ‘অ্যান্টি-সোয়েট’ ও ‘ইলেকট্রো হেল্‌থ (ব্যক্তিগত মডেল এবং ক্লিনিক মডেল)’ যন্ত্রদুটো বিক্রয়ের জন্য ডিলার নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিলার নিয়োগ সম্পর্কীয় কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে এ তথ্যপত্রে।

ডিলার নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যাবলী:

১। কারা ডিলার হতে পারবেন?

বর্তমানে আমরা নিম্নলিখিত কয়েক ধরণের ব্যবসায়ে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানকে ডিলার হিসেবে নিয়োগ দিতে যাচ্ছি (এর বাইরেও কেউ আগ্রহ প্রকাশ করতে পারবেন, আমরা বিবেচনা করে দেখব):

) চিকিৎসা যন্ত্র বিপণনকারী:

যারা ইতিমধ্যে চিকিৎসা যন্ত্র বিপণন করছেন।

) ক্লিনিক বা ডায়াগনোস্টিক কেন্দ্র, চর্মরোগ সেবাকেন্দ্র, ফিজিক্যাল মেডিসিন/ফিজিওথেরাপী কেন্দ্র:

যেহেতু ইলেকট্রো হেল্‌থ এবং অ্যান্টি সোয়েট যন্ত্র দুটো রোগী বাড়ীতে বসেই ব্যবহার করতে পারেন, তাই উপরিল্লিখিত সেবাকেন্দ্রসমুহে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীগণের কাছে এ দুটি যন্ত্র বিক্রয় করার বিশাল সম্ভাবনা আছে। এজন্য উল্লিখিত সেবাকেন্দ্রসহ যে কোন চিকিৎসা কেন্দ্র ডিলারশীপের জন্য বিবেচ্য হবে।

গ) ঔষধ বিক্রেতা:

দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠিত ঔষধ বিক্রেতাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

ঘ) অনলাইন মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান:

যারা ইন্টারনেট ভিত্তিক ই-কমার্স, এফ-কমার্স করছেন তারাও ডিলারশপের জন্য বিবেচ্য।

দ্রষ্টব্যঃ ডিলারশপের জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে যাদের কারিগরী অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নিজস্ব জনবল আছে, যারা যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ ও ছোটখাট ত্রুটি স্থানীয়ভাবেই মেরামত করতে পারবেন, তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। কোন ডিলারের নিজস্ব কারিগর না থাকলেও এলাকার অন্য কোন কারিগরের সাথে চুক্তি করে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কারিগরের সাথে করা একটি চুক্তিপত্র পাঠালে তাকেও অগ্রাধিকারের বিবেচনায় আনা যাবে।

তবে কারিগরী সক্ষমতা থাকা আবশ্যিক নয়।

আগ্রহী ডিলারগণ নিচের তথ্যসমুহ পাঠালে বাইবিট তার মূল্যায়ণ করে অনুমোদিত ডিলারগণকে জানিয়ে দেবে, ও পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। যাদেরকে ডিলারশীপ দেওয়া গেল না, তাদেরকেও জানিয়ে দেওয়া হবে।

 

২। আগ্রহী ডিলারদেরকে কী কী তথ্য পাঠাতে হবে?

ক) হালনাগাদের ট্রেড লাইসেন্স।

খ) টিআইএন সার্টিফিকেট।

গ) ব্যবসার বয়স (আরও তথ্য ঐচ্ছিক)

ঘ) প্রতিষ্ঠানের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য। একটি ছবি পাঠাতে হবে (অনলাইন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।

ঙ) প্রতিষ্ঠানে কী কী ধরণের পণ্য বিপণন করা হয়, তার একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা।

চ) প্রতিষ্ঠানের আয়তন এবং কর্মচারীর সংখ্যা (অনলাইন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আয়তন প্রযোজ্য নয়)

ছ) ইলেকট্রনিকস যন্ত্র মেরামতের কারিগর থাকলে (বা চুক্তিবদ্ধ হলে) তার শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তথ্য।

 

৩। সোল-ডিস্ট্রিবিউটরশীপ কি দেয়া হবে?

না, বর্তমানে বাংলাদেশের কোথাও সোল ডিস্ট্রিবিউরশীপ দেয়া হবে না।

৪। ডিলারগণ কী ভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন?

তারা প্রতিটি পণ্যের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য (Maximum Retail Price – MRP) থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কমিশন বাবদ পাবেন। কমিশনের পরিমাণ ডিলারের ভৌগলিক অবস্থান, আশেপাশের জনসাধারণের কাছে প্রতিষ্ঠানের গ্রহণযোগ্যতা, নিজস্ব কারিগরদের মাধ্যমে বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের সক্ষমতা, ইত্যাদির উপর নির্ভর করবে। এক্ষত্রে প্রতি ডিলারের সাথে বাইবিট পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে কমিশনের হার নির্ধারণ করবে। বর্তমানে যন্ত্রগুলোর সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য নিম্নরূপ (যে কোন সময় পরিবর্তিত হতে পারে):

ক) অ্যান্টি-সোয়েট: টাকা ৮,০০০ (আট হাজার টাকা মাত্র)

খ) ইলেকট্রো হেল্‌থ – ব্যক্তিগত মডেল: টাকা ৭,৫০০ (সাত হাজার পাঁচ শত টাকা মাত্র)। উল্লেখ্য, এ দামের ভেতর একটি বিদেশী পাওয়ার ব্যাংক ও চার্জারও রয়েছে।

গ) ইলেকট্রো হেল্‌থ – ক্লিনিক মডেল: টাকা ১৫,০০০ (পনেরো হাজার টাকা মাত্র)

 

৫। ডিলারগণ কি পণ্যটি ইচ্ছামত যে কোন মূল্যে বিক্রয় করতে পারবেন?

‘অ্যান্টি-সোয়েট’ ও ‘ইলেকট্রো হেল্‌থ’ যন্ত্রদুটোর জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য (MRP) থেকে বেশী মূল্যে বিক্রয় করা যাবে না। তবে যে কোন ডিলার তার নিজের কমিশন থেকে ছাড় দিয়ে MRP থেকে কম মূল্যে বিক্রয় করতে পারবেন।

 

৬। ডিলারগণ কি বাইবিট থেকে বাকীতে পণ্য পাবেন?

না। নির্ধারিত কমিশন বাদ দিয়ে মূল্য নগদ পরিশোধেই কেবল পণ্য সরবরাহ করা হবে।

 

৭। শুরুতে ডিলারকে কি কোন জামানত দিতে হবে?

না। কোন জামানত দিতে হবে না। তবে ডিলার যে যে পণ্য বিক্রয় করতে চান শুরুতে তার ন্যূনতম কয়েকটি কিনতে হবে। যেমন:

ক) অ্যান্টি-সোয়েট: দুটি

খ) ইলেকট্রো হেল্‌থ – ব্যক্তিগত মডেল: দুটি

গ) ইলেকট্রো হেল্‌থ – ক্লিনিক মডেল: একটি

(যে যন্ত্র বিপণন করতে চান কেবল সেটি, অন্যগুলো নয়)

 

৮। এক এলাকায় একাধিক ডিলার কি নিয়োগ দেয়া হবে?

বর্তমানে একটি এলাকায় একজন ডিলার নিয়োগ দেয়া হবে। কিন্তু কোন এলাকা বড় হলে এবং ক্রেতার সংখ্যা বেশী হলে (যেমন ঢাকা, চট্টগ্রাম, ইত্যাদি বড় শহর) একাধিক ডিলার নিয়োগ দেয়া হতে পারে। তবে ঐ এলাকার প্রথমে নিয়োগ দেয়া ডিলারদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষেই তা করা হবে।

 

৯। যন্ত্র বিক্রয় করার জন্য ডিলারদের কি কোন প্রশিক্ষণ দেয়া হবে?

ডিলারশীপের শুরুতে ঢাকার বাইবিটের অফিসে ডিলারপ্রতি একজনকে পণ্যটির বিক্রয় বিষয়ে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ডিলারের কারিগর থাকলে বা কারও সাথে কারিগরী চুক্তি থাকলে তাকেও যন্ত্রটি রক্ষণাবেক্ষণ ও ছোটখাট মেরামত বিষয়ে একবার বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তবে এ প্রশিক্ষিত ব্যক্তি চলে গেলে পরবর্তী ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য খরচ নেয়া হতে পারে।

 

১০। ঢাকার বাইরে ডিলারগণ কীভাবে যন্ত্র পাবেন?

তারা নিজের জনবলের মাধ্যমে বাইবিটের ঢাকার অফিস থেকে যন্ত্র নিতে পারবেন। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমেও পাঠানো যাবে, তবে পাঠানোর খরচ ডিলারকে বহন করতে হবে।

 

১১। যন্ত্রে গ্যারান্টী কতদিনের?

বাইবিটের তৈরি দুটো যন্ত্রেই প্রস্তুত করণের ত্রুটির উপর দু বছর করে গ্যারান্টী আছে। তবে ইলেক্ট্রো-হেল্‌থ যন্ত্রের সাথে দেওয়া পাওয়ার ব্যাংক ও চার্জার দুটো বিদেশী বিধায় সেটির উপর সাপ্লায়ারের দেয়া গ্যারান্টী প্রযোজ্য হবে। বর্তমানে তা ছয় মাস। তবে ক্রেতার ভুল ব্যবহারের কারণে যন্ত্র নষ্ট হয়ে থাকলে এ গ্যারান্টী প্রযোজ্য হবে না সেক্ষেত্রে যন্ত্র মেরামতের পর বাইবিট যে চার্জ করবে, তা প্রদান করতে হবে

 

১২। ডিলার কী ভাবে ক্রেতাকে সে গ্যারান্টীর সুবিধা দেবেন?

ডিলারের নিজস্ব বা বাইবিট অনুমদিত ও চুক্তিবদ্ধ প্রশিক্ষিত কারিগর থাকলে স্থানীয় ভাবে নষ্ট যন্ত্রের সাধারণ ছোটখাট ত্রুটি মেরামতের উদ্যোগ নেবেন প্রথমে। তাতে যদি সমাধান না হয়, তবে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বাইবিটের ঢাকার অফিসে পাঠাতে হবে। যন্ত্র ঠিক করার পর আবার কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হবে। ক্রেতা এক দিকের কুরিয়ারের খরচ বহন করবেন। বাইবিট অপর দিকের খরচ বহন করবে।

 

১৩। গ্যারান্টীর সময় পার হয়ে গেলে কীভাবে মেরামত করা যাবে?

যন্ত্রটি বাইবিটের অফিসে পাঠালে, যতদূর সম্ভব কম চার্জে মেরামত করে দেয়া হবে। বাইবিটের নিজস্ব তৈরি করা যন্ত্রগুলো যেহেতু নিজস্ব প্রযুক্তির, তাই কেবল নষ্ট যন্ত্রাংশটি পাল্টিয়ে মেরামত করে দেওয়া যায়। ফলে খরচ কম হয়। তবে পাওয়ার ব্যাংক ও চার্জার বিদেশে তৈরি বিধায় মেরামত করা যাবে না।

 

১৪। যন্ত্র বিক্রয়ের প্রসারের জন্য বিজ্ঞাপন কে দেবে? স্থানীয়ভাবে কি দেওয়া যাবে?

সারা দেশে পণ্যের প্রসারের জন্য বাইবিট নিজস্ব ভাবে উদ্যোগ নেবে, তার সুফল ডিলারগণও পাবেন। বাইবিটের ওয়েবসাইটে ডিলারদের নাম ঠিকানা ও যোগাযোগের তথ্য থাকবে। তবে কোন ডিলার যদি স্থানীয়ভাবে নিজের খরচে কোন বিজ্ঞাপন দিতে চান তবে বাইবিটের কাছ থেকে তার তথ্য ও ডিজাইন অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে বাইবিট তার নিজস্ব তথ্য ও ডিজাইন দিয়েও সাহায্য করবে।

 

১৫। ডিলারশপের চুক্তি কত দিনের জন্য প্রযোজ্য হবে? চুক্তি বাতিল কী ভাবে হবে?

প্রাথমিকভাবে তিন বৎসরের জন্য চুক্তি করা হবে, যা নবায়ণযোগ্য। তবে প্রথম ছয় মাস পর একটি মূল্যায়ণ হবে যার প্রেক্ষিতে নির্ধারণ করা হবে চুক্তিটি তিন বছর চলবে না বাতিল করা হবে। প্রথম ছয় মাসের মধ্যে যে কোন পক্ষ সাত দিনের নোটিসে চুক্তি বাতিল করতে পারবে। এর পরবর্তী সময়ে চুক্তি বাতিলের জন্য নোটিস দেওয়ার সময় হবে তিন মাস।






    নিচে থেকে ডিলারশীপ ফর্মটি ডাউনলোড করে, প্রিন্টকরার পর পূরণ করে আমাদেরকে অফিসের ঠিকানায় পাঠাতে পারেন।

    Enter your keyword