Description
কেন অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার না করে পিইএমএফ থেরাপি ব্যবহার করব?
১) ব্যথানাশক ওষুধের দীর্ঘমেয়দী ব্যবহারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া –
- স্মৃতি এবং বোধশক্তির সাথে সম্পৃক্ত মস্তিষ্কের কোষগুলি ধ্বংস করে।
- দীর্ঘমেয়াদী এনএসএআইডস(ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ) ওষুধের ব্যবহারের অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে, যেমনঃ হার্ট অ্যাটাক, শ্রবণশক্তি হ্রাস, উচ্চ্ রক্তচাপ, লিভার ও কিডনির ক্ষতি ইত্যাদি।
- ওপিওয়েডগুলি সরাসরি মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে রিসেপ্টরগুলিতে কাজ করে। মস্তিষ্কের মধ্যে এমন কিছু অঞ্চল রয়েছে যাদেরকে রিওয়ার্ড অঞ্চল বলা হয়। এই অঞ্চলগুলিতে যখন ট্রান্সমিটার ডোপামিনের বৃদ্ধি ঘটে তখন একজন ব্যক্তি সুখ এবং সুস্থতার এক অনুভূতি অনুভব করে। যখন সময়সীমার অতিরিক্ত সময় ধরে ওষুধগুলি নিয়মিত গ্রহণ করা হয়, রোগী ব্যথানাশক ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে ওঠে এবং যদি সে এটি ব্যবহার বন্ধ করে দেয়, তবে সে খুব অপ্রসন্ন অনুভব করে যাকে withdrawal symptom বলে। Withdrawal symptom এড়ানোর জন্য কিছু ব্যক্তি ব্যথানাশক ওষুধগুলি প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে এবং এভাবে সে আসক্ত হয়ে যায়।
- দীর্ঘদিন একই ওষুধ ব্যবহার করলে ওষুধের ডোজ বাড়াতে হয়, কারণ নিম্ন ডোজ ধীরে ধীরে অকার্যকর হয়ে পড়ে। এই ঘটনাটিকে dependence বলা হয়। Dependence ব্যক্তিকে যে ওষুধ সেবন করে তার ডোজ বাড়িয়ে রাখতে বাধ্য করে।
অন্যদিকে, পিএমএফ-এর ব্যবহারের ষাট বছরেরও বেশি সময় ধরে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় নি।
২) ব্যথানাশক ওষুধ, TENS, আকুপাংচার ইত্যাদি ব্যথার উৎস থেকে সৃষ্ট সংকেতকে মস্তিষ্কে পৌঁছাতে দেয় না। এই সকল সমাধান খুবই স্বল্পস্থায়ী। আপনার ব্যথা কমাতে সাহায্য করে কিন্তু ব্যথার যে কারন সেটা নিরাময় করতে পারে না বলেই তা স্বল্পস্থায়ী। কিছু পদ্ধতিতে (যেমনঃ আকুপাংচার), যদি ননস্টেরাইল সূচগুলি ব্যবহার করা না হয় তবে রক্তবাহিত রোগগুলোতে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অন্যদিকে PEMF ব্যথার স্থানে রক্তের মাইক্রোসারকুলেশন (কৈশিক রক্তজালিকাগুলিতে) বাড়িয়ে দেয়, যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এতে অক্সিজেন প্রবাহ বাড়ে, কোষগুলো পুষ্টি পায় ও দুষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। ব্যথা দূর করার জন্য শরীরের নিজস্ব ব্যবস্থা (Body’s own healing process) নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলেও তাকে আবার সক্রিয় করে তোলে। ফলে ব্যথার উপশম হয়।
৩)ফিজিওথেরাপীঃ ফিজিওথেরাপিতে সাধারণত একজন রোগীকে একাধিক সাপ্তাহিক অ্যাপয়েন্টমেন্ট রাখতে হয়, চিকিৎসা সেশনগুলোও দীর্ঘ হয় ফলে চিকিৎসার ব্যয় বেশি এবং সময় সাপেক্ষ।
৪)কেউ একবার ইলেক্ট্রো হেলথ ডিভাইসটি কিনলে বাসায় বসে তার সুবিধাজনক সময়ে খুব সহজে থেরাপিটি নিতে পারবেন। যেহেতু ইলেক্ট্রো হেলথ ডিভাইসটি পোর্টেবল, তাই থেরাপীকালীন সময়ে ব্যবহারকারী তার দৈনন্দিন জীবনের সকল স্বাভাবিক কার্যাবলী চালিয়ে যেতে পারবে।
বাইবিটের ইলেক্ট্রো হেলথ ডিভাইসের কার্যকরীতা:
যে সকল ক্ষেত্রে এই যন্ত্রটি কার্যকর-
- ঘাড়, কাঁধ, কোমর এবং হাঁটুর ব্যথা
- বার্ধক্য জনিত ব্যথা
- মাংসপেশীর ব্যথা
- অস্টিওপোরোসিস
- অস্টিও আরথ্রাইটিস
- রিউম্যাটয়েড আরথ্রাইটিস
- গাউট
- ফ্রোজেন শোল্ডার
- স্পোর্টস ইনজুরি
- টেনিস এলবো
- ডিস্ক বালজিং
- ডিস্ক প্রোলাপ্স
- ডিস্ক হার্নিয়েশন
- স্পাইনাল স্টেনসিস
- ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি
- পি এল আই ডি
- সায়াটিকা
- স্পন্ডোলাইটিস
- টেইলবোন পেইন
- মাসল স্পাজম
- এ সি এল ইনজুরি
বাইবিটের ইলেক্ট্রো হেলথ ডিভাইস:
বাইবিটের ইলেক্ট্রো হেলথ ডিভাইসটি অধ্যাপক সিদ্দিক-ই রব্বানীর নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকাল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
বাজারের সমস্ত ডিভাইস বিশ্লেষণ করে এবং ৪০ বছর আগে হাড়ের ফ্র্যাকচার নিরাময়ের জন্য পিইএমএফের সাথে কাজ করার তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি ব্যথা উপশমের এই ডিভাইসটি ডিজাইন করেছিলেন।
তার নেতৃত্বে ডিভাইসটি তৈরি করে কয়েক দিনের থেকে ৩ বছরেরও বেশি সময় ব্যাপী পিঠে ব্যথা এবং ঘাড়ে ব্যথায় আক্রান্ত কয়েকজন ব্যক্তির উপর পরীক্ষা চালানো হয় এবং প্রত্যেকটি পরীক্ষায় আশানুরূপ সাফল্য পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ডিভাইসটি ডঃ আখতারুজ্জামান, (Professor, Department of Anaesthesia, Analgesia and Intensive Care Medicine, BSMMU)-এর অধীনে বড় পরিসরে ফিল্ড ট্রায়াল করা হয় এবং এর ফলাফল ছিল খুবই সন্তোষ জনক।
পিইএমএফ ব্যথা নিরাময়ে কীভাবে কাজ করে?
বাইবিটের তৈরি Electro-Health যন্ত্রটি পিইএমএফ (‘পালসড ইলেক্ট্রো-ম্যাগনে্টিক ফিল্ড) ভিত্তিক, একটি নন ইনভেসিভ এবং ড্রাগ-মুক্ত থেরাপি পদ্ধতি, যা ঘরে বসে ব্যথা নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। Electro-Health যন্ত্রটি PEMF প্রযুক্তিতে একটি ইলেকট্রিক কয়েলের মধ্য দিয়ে পাল্স আকারে খুবই অল্প শক্তির বৈদ্যুতিক কারেন্ট পাঠানো হয়। এর ফলে একটি চুম্বকীয় বা ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয়। আমাদের ডিভাইসটি এমন পালসেটিং চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে যা কোনও মাধ্যম ছাড়াই অবাধে শরীরে প্রবেশ করে। দেখা গেছে এর ফলে স্থানীয়ভাবে রক্তনালীগুলো প্রসারিত হয় ও রক্ত সরবরাহ বেড়ে যায়। এটি রক্তের মাইক্রোসারকুলেশন (কৈশিক রক্তজালিকাগুলিতে) বাড়িয়ে দেয়, যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এতে অক্সিজেন প্রবাহ বাড়ে, কোষগুলো পুষ্টি পায় ও দুষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। ব্যথা দূর করার জন্য শরীরের নিজস্ব ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলেও তাকে আবার সক্রিয় করে তোলে। ফলে ব্যথার উপশম হয়।
দেহের টিস্যুতে অবস্থানরত চার্জ এবং বৈদ্যুতিক আয়নগুলির সাথে এই বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে পারে। কোষের ঝিল্লির চার্জ চৌম্বকীয় ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয়, যার ফলে ঝিল্লি চ্যানেলগুলি উন্মুক্ত হয়। কোষের চ্যানেলগুলি খোলার পরে, পুষ্টিগুণগুলি আরও সহজে কোষে প্রবেশ করে এবং কোষের বর্জ্য পদার্থ আরও সহজেই বের হয়ে যায়, যা কোষের সর্বোত্তম কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করে।
পালসটিং তড়িৎ-চৌম্বক ক্ষেত্রটি কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ব্যথা হ্রাসে অত্যন্ত সফল। আমাদের পুরো শরীর, ত্বক, হাড় এবং অঙ্গগুলি কোষের সমন্বয়ে গঠিত। কম ফ্রিকোয়েন্সির তড়িৎ-চৌম্বক পালস ত্বকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পেশী, হাড়, টেন্ডন এবং এমনকি অঙ্গগুলির গভীরে প্রবেশ করে কোষের শক্তি সক্রিয় করে। এই সকল কোষের কোষপ্রাচীরে রয়েছে চার্জড আয়ন। এই চার্জগুলি আপনার শরীরের ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো রাসায়নিক উপাদানগুলি বহন করে। সময়ের সাথে সাথে আপনার কোষগুলি ক্ষয় হয় বা আহত হয় এবং যখন এটি ঘটে তখন তারা তাদের চার্জ হারাতে পারে – এবং তাদের সাথে, রাসায়নিক উপাদানগুলির বিনিময় করার ক্ষমতাও হারায়। কম চার্জযুক্ত ক্ষতিগ্রস্থ কোষ দ্বারা প্রদাহ, ক্লান্তি এবং ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। পিইএমএফ প্রযুক্তি ক্ষতিগ্রস্থ কোষগুলোকে টার্গেট করে এবং কোষের চার্জ পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে এবং দেহের প্রাকৃতিক ক্ষয়পূরণ প্রক্রিয়াগুলিকে (Body’s Natural Healing Process) ত্বরাণ্বিত করে।
ব্যবহার বিধি
বাইবিটের তৈরি Electro-Health যন্ত্রটি দিনে যতবার ইচ্ছা ব্যবহার করা যাবে তবে সর্বনিম্ন দুই ঘণ্টা ব্যবহার করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী ব্যথার ক্ষেত্রে Electro-Health যন্ত্রটি যতবেশি সময় ধরে ব্যবহার করবে ততো বেশি সুফল পাবে। যেহেতু এটির কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তাই দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করলেও কোন সমস্যা নেই।
কন্ট্রাইন্ডিকেশনঃ
কেবলমাত্র হার্টের কন্ডিশনযুক্ত ব্যক্তিরা (যারা পেসমেকার ব্যবহার করছেন) এবং গর্ভাবস্থায় পিইএমএফ ব্যবহার করা উচিত না।